নওশাদকে বারুইপুর আদালতে আনা হলো জামিন পাননি নওশাদ সিদ্দিকী কেন জামিন পাননি?
নওশাদ সিদ্দিকী গত ২১শে জানুয়ারী থেকে আজ অবধি জেল হেফাজতে, কারণ সবাই জানে আজকাল ছেলের চেয়ে বড় কেউ নেই যে নওশাদ সিদ্দিকীর কথা জানে না। গত ১ ফেব্রুয়ারি নওশাদ সিদ্দিকীর জামিন পাওয়ার কথা থাকলেও আদালত তাকে জামিন দেননি। কারণ নওশাদ সিদ্দিকী বর্তমানে সত্যের তীর্থযাত্রী তাই তাকে কোনোভাবেই জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
সকলেই জানেন যে গত ২১শে জানুয়ারী কোলকাতার রানি রাসমণি রোডে ISF দলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেখান থেকেই নওশাদের ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারী নওশাদ সিদ্দিকীর ঘটনার সূত্রপাত। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে আসেন এবং সমস্ত কর্মী এবং সদস্যদের সমস্ত ভক্তদের কাছে তাঁর বার্তা পৌঁছে দেন এবং 1লা জানুয়ারী ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা হন অনেক যুবক ভাঙ্গার রাস্তায় অর্থাৎ নিউ টাউনের কাছে একটি জায়গায় বিপরীত পক্ষের অর্থাৎ টিএমসির হার্মাদ বাহিনীর গুন্ডারা বাধা দেয়। আইএসএফ সদস্যদের গাড়ি। ফোন গেল, নোটটি সিদ্দিকীর কাছে নওশাদ সিদ্দিকী সেই সময় ধর্মতলায় ছিলেন প্রতিষ্ঠা দিবসে রানি রাসমণি রোডে ধর্মতলায় যে বৈঠক হবে, তার অগ্রগতি দেখতে, ফোন পাওয়া মাত্রই তিনি চলে যান। নিউ টাউনে তার সব কর্মীকে আটক করে এ ঘটনা ঘটে। নওশাদ সিদ্দিকী নিউ টাউন সিক্স লেনে এলে ঘটে। সেসবের খুঁটিনাটি আপনি জানেন, আমি সেদিকে যাব না, এখন মূল কথা।
নওশাদ সিদ্দিকী কেন জামিন পাননি ?
নওশাদ সিদ্দিকীকে গত ১লা ফেব্রুয়ারি কলকাতা বানসাল আদালতে হাজির করা হয় এবং ৩-৪ ঘণ্টা জেরা করা হয় এবং বিচারক কোনো কথার উত্তর দিতে না পারলেও পরবর্তী শুনানির জন্য তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। নওশাদ সিদ্দিকীর চরিত্র, তার সৎ স্বভাব, তার হৃদয় বাংলার লাখো তরুণের ভালোবাসা এবং হাজার হাজার যুবক এই নওশাদের জন্য জীবন দিতে রাজি বলেই মানুষ প্রথম ফেব্রুয়ারির দিকে তাকিয়ে ছিল।
বর্তমানে ফুরফুরা শরীফের সকল পীর সাহেব পীরজাদা গন একযোগে এই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন। বলা বাহুল্য শুধু পীর সাহেব পীরজাদা গান। বর্তমানে এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে সমস্ত মুসলিম বিশেষ করে মুসলিম ধর্মের মানুষ টিএমসির প্রতি তাদের আস্থা ও ঘৃণা তৈরি করেছে এবং সেই কারণেই টিএমসি এই ধরনের নির্যাতন করতে বাধ্য হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ISF-এর নেতারা এবং সমস্ত কর্মী এবং সদস্যরা বলেছেন যে নওশাদ সিদ্দিকীই সত্যের একমাত্র পথপ্রদর্শক এবং নওশাদ সিদ্দিকীর দ্বারা তৃণমূলের মিথ্যা ও অসৎ কর্মকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাই নওশাদ সিদ্দিকীকে পুলিশ হেফাজতে রেখে তাদের কাজটি অর্জন করতে চান টিএমসি নেতারা।
সবচেয়ে বড় কথা হল পঞ্চায়েত ভোটের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, নওশাদ সিদ্দিকী তার দলের পক্ষে সর্বত্র মিছিল করছেন, এবং সেই সমাবেশে বিপুল জনসমাগম হয়। অন্য কথায়, টিএমসি নেতারা যারা বড় দলে নওশাদ সিদ্দিকীর জনসভায় যোগ দিচ্ছেন তারা আগামী নির্বাচনে সফল হবেন কিনা তা নিয়ে ভাবছেন। মানুষ যাতে নওশাদ সিদ্দিকীর জনসভায় যেতে না পারে সেজন্য তারা এ ধরনের নির্যাতন করছে। সবাই নওশাদ সিদ্দিকীর পেছনে পা ফেলছে এবং এই নবনির্বাচিত বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জনগণের নানা ধরনের সহযোগিতা ও সংহতি দেখাচ্ছেন, এই অত্যাচার চলছে তা মেনে নিতে পারছেন না বিপরীত দলের নেতাকর্মীরা।
নওশাদ সিদ্দিকীকে শেষ পর্যন্ত বারাইপুরে আনা হয়। তাকে বোঝানোর জন্য সম্ভবত তার সাথে বিভিন্ন শিল্প কৌশল থাকবে এবং গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ হেফাজতে থাকা পুলিশও তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলবে। আইনজীবীরা শেষ পর্যন্ত মুক্তি দেবেন কি না তা এখনো জানা যায়নি তবে বাংলার মানুষ সত্য-মিথ্যা বুঝতে ও যাচাই করতে শিখেছে। দেখলেই তাদের ভালো সম্মান হবে। মানুষ সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
Thanks