বিধায়ক পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকী কেন এত জনপ্রিয় ?
জানিনা আমার লেখা কয়জন পছন্দ করবে? কিন্তু তারা রাজনীতি করলে হয়তো কেউ তাদের পছন্দ করবে না। কারণ তারা সবসময় সহিংসতার শিকার হয়। কারো সম্পর্কে মন্তব্য করা তাদের সাথে ভাল যায় না। সব কথার শেষ কেউ দেখতে পায় না।
যাই হোক, এখন মূল কথায় আসি, অনেকে মনে করেন পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকী তার বড় ভাই পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর (ভাইজান) কারণে এত জনপ্রিয়। কিন্তু আমার পুরো গল্পটা পড়লেই বুঝবেন আসল ব্যাপারটা কী? এছাড়া নওসাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে তাদের বিনিময় হয়েছে বলেও জানতে পারবেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আকিরুল রহমান নামের আমার এক বন্ধুর সাথে। তিনি বলেন, পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিক ভাইজান সত্যিই বড় মনের মানুষ!
কেন এমন লিখলাম, চলুন জেনে নেওয়া যাক! আমি পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকী ভাইজানকে অনেকদিন ধরে চিনি, প্রায় সাত-আট বছর আগে থেকে অনেক পীরজাদা ভাইজানের সাথে আমার কমবেশি সম্পর্ক আছে।
কয়েকদিন আগে হঠাৎ আমার এক বন্ধুর ফোন এলো, ফোনটা তুলে জানতে পারলাম তার বোন খুব অসুস্থ, ডাক্তার বললেন পাঁচ পাউচ রক্ত লাগবে, আকিলুর ভাই, আপনি কি আমাকে পেতে পারেন? রক্তদান কার্ড? আমি বললাম হ্যা পারবো ইনশাআল্লাহ। পরে ফোন করব বলে ফোন রেখে দিলাম।
পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকী একজন মহান ব্যাক্তি
তৎক্ষণাৎ এ বিষয়ে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে একটি ছোট পোস্ট লিখলাম। তারপর আমি আমার বন্ধুকে ফোন করে বললাম যে কাছাকাছি একটি রক্তদান শিবির আছে, আমি সেখানে যাচ্ছি এবং আমাকে সেখানে পাওয়া যাবে, আমি ফোন কেটে দিলাম। আমি আমার বাড়ির কাছে এক কিলোমিটারের মধ্যে ক্যাম্প করেছিলাম এবং সেখানে এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাই। সেখানে পৌঁছনোর দু-তিন মিনিট আগে আমার ফোনে কল আসে, বাইক চালাতে গিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করেছিলাম, দেখলাম তাতে নওশাদ ভাইজানের নাম লেখা, আমি ফোন রিসিভ করলাম, ভাইজান বললেন কার রক্ত লাগবে বলনি কেন, আমি বললাম ভাইজান, আমার সময় নেই, পাশেই একটা ক্যাম্প আছে। এমন হল যে আমি ওখানে যাচ্ছি, ভাইজান বলল কত রক্ত লাগবে, আমি বললাম পাঁচটা পাউচ, ভাইজান বলল একটা কার্ড পেয়েছি, আমি বললাম না ভাইজান, আমি দেখছি এক জায়গায় পাওয়া যায় কিনা, ভাইজান বলল যাই হোক। , আপনি বা তাদের একজন বেলেঘাটা যাবেন, আমার নাম বলুন, আমি ফোন করব। তোমার যা রক্ত লাগবে, পাঁচ পাউচ বা তার বেশি যা লাগবে আমি নেব, আর যার রক্ত লাগবে আমাকে জানাবেন। যাদের রক্তের প্রয়োজন তারা একবার হলেও আমার কথা শুনবেন। অবশেষে জিজ্ঞেস করলাম ভাই আপনি কোথা থেকে জানলেন? একটা কথা বলে ফোন কেটে দিলাম।
একজন বিধায়কের আলাদা আবেগ থাকে কিন্তু বিধায়ক পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকীর যদি সেই আবেগ বা গর্ব থাকত তাহলে তিনি সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন না। আর কারো পোস্ট দেখে যদি কেউ ফোন করতে পারে, আমি কি আপনার এই মহৎ কাজটি শেয়ার করতে পারি না? সত্যিই ভাই, আপনার একটি ফোন আমাকে সারা জীবন অনুভব করবে। এভাবেই জনগণের সেবা করুন আমি বিশ্বাস করি একদিন আপনার অদূষমন আপনার পাশে দাঁড়াবে। ধন্যবাদ ভাই.
তাই বাংলার সর্বত্র একটাই নাম নওসাদ সিদ্দিকী
শুধু তাই নয়, দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী যে জায়গায় আছেন সেখানে শিশু থেকে বৃদ্ধরা কীভাবে পরিষেবা পাচ্ছেন তা দেখতে আমাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে হবে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে সঠিক পথ সম্পর্কে সচেতন করা এবং মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা। আর সব সময় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ান। এই পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী ভাঙড়ের বিধায়ক শুধু তাই নয় মানুষ সব সময় সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নানাভাবে এই বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন এই কামনা করি।
Thanks