হজ্ব যাত্রী আর ফ্রি জমজমের পানি
সম্মানিত হজ্ব যাত্রীরা এখন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। যে ফ্লাইটগুলি তাদেরকে নিয়ে সৌদি আরব যায় সেগুলি বাংলাদেশে আসার সময় খালি আসে। গত কয়েক বছর ধরেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ খালি ফ্লাইটগুলিতে জমজমের পানি নিয়ে এসে জমা করতে থাকে। ফলে হজ শেষে বাংলাদেশে ফেরার সময় বিমানের যাত্রীদের জমজমের পানি লাগেজের সাথে বুকিং দিয়ে আনতে হয় না। বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে কেবিন ক্রু সম্মানিত হাজীদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে টোকেন দেন। বাংলাদেশে পৌছে ইমিগ্রেশন এবং লাগেজ সংগ্রহ শেষ করার পর ঐ টোকেনটি জমা দিলেই প্রত্যেক যাত্রী ৫ লিটারের জমজমের পানির একটি বাক্স পেয়ে যান।
বিমান এ পদ্ধতি অনুসরণ করলেও সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের জমজমের পানি লাগেজের সাথে বুকিং দিয়েই আনতে হত। এতে করে শেষের দিকের ফ্লাইটে আসা অনেক যাত্রী বাংলাদেশে পৌছে জমজমের পানি পেতেন না। তবে এখন সৌদি এয়ারলাইন্সও বিমানের মতই তাদের খালি ফ্লাইটে জমজমের পানি নিয়ে এসে বাংলাদেশে জমা করেছে। অর্থাৎ এখন বিমানের মত সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীদেরকেও বাংলাদেশে ফেরার সময় লাগেজের সাথে জমজমের পানি বুকিং দিতে হবে না। ঢাকা, চট্টগ্রাম অথবা সিলেটে বিমানবন্দরে পৌছে টোকেন জমা দিয়ে তারা প্রত্যেকে পাচ লিটারের পানির বাক্স গ্রহণ করবেন।
এভাবে নিয়ে আসা জমজমের পানির বাক্স পর্যাপ্ত। অল্প কিছু সংখ্যক বাক্স পরিবহনের সময় ফেটে নষ্ট হতে পারে। সে বিবেচনায় কিছু বাক্স অতিরিক্ত আনা হয়। ফলে কোন হাজী পানি পাবেন না, এমন আশঙ্কা ইনশাল্লাহ আর নেই।
সৌদি সরকার তাদের নির্ধারিত ৫ লিটারের বাক্স ছাড়া আর কোন অবস্থাতেই লাগেজের সাথে জমজমের পানি আনতে দেয় না। কেউ লাগেজে ভরে পানি আনার চেষ্টা করলে তা স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়বে এবং লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেওয়ার পর তা উড়োজাহাজে তুলতে দিবে।
একইভাবে অনেকে লাগেজে কাচা মাংস ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটাও নিষিদ্ধ। মাংসের বরফ দ্রুত গলে গিয়ে রক্ত বের হয়ে পড়ে এবং কোন কারণে লাগেজ পাঠাতে দেরি হলে রক্ত পচা দুর্গন্ধে বিমানবন্দরের পরিবেশ দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। সম্মানিত হাজীদের মনে রাখতে হবে আমরা যেন সৌদি সরকারের বিরক্তি সৃষ্টির মত কোন কাজ না করি।
পরম করুণাময় সকল হজযাত্রীর হজকে কবুল করুন। তাদের সকলকে হজ শেষে সুস্থভাবে বাংলাদেশে ফিরে আসার তৌফিক দান করুন।
Thanks