সংসদে সাংসদদের বহিষ্কার করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন নওসাদ সিদ্দিকী
রক্তপাত, হানাহানি করে যারা ভাঙড়ের নামে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে, তাদের সেই অপচেষ্টা বন্ধ করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট সৌহার্দের, সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু শাসক তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় প্রতিহিংসামূলক আচরণ নিয়ে চলেছে, সেইজন্য রক্তদান মহোৎসবকে তারা বাধা দিচ্ছে। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের ভোগালি -১ নম্বর অঞ্চলে রক্তদান শিবিরের অষ্টম দিনের অনুষ্ঠানে আইএসএফের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী একথা বলেন। তিনি আজও বলেন, রক্তদানকে কেন্দ্র করে রাজনীতি খুবই সংকীর্ণ মনের পরিচায়ক। তিনি বলেন, মানুষকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে আইএসএফ বদ্ধপরিকর। সেজন্য বিধানসভার মধ্যে আমি সবসময় সোচ্চার। ভাঙড়ের উন্নয়নের জন্য এখানকার রাস্তাঘাট নির্মাণ, সেতুর সংস্কার ও উন্নয়ন, হিমঘর নির্মাণ, নতুন কলেজ তৈরি, ক্রীড়াক্ষত্র নির্মাণ প্রভৃতির বিষয়ে বিভিন্ন বিভাগীয় মন্ত্রীকে বলে চলেছি। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য লক্ষীকান্ত হাঁসদা বলেন, আইএসএফের বিধায়ক সবসময় শাসকদলের অন্যায়, অবিচার, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব। তাই তাঁর নামে কুৎসা, অপপ্রচার করা হচ্ছে।
তবে মানুষ দেখছেন সবই। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে মানুষ এর জবাব দিয়ে দেবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য জুবি সাহা, সমাজসেবী আলমগীর খান সহ আঞ্চলিক নেতৃত্ব। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণণার দিন পুলিশের গুলিতে নিহত আইএসএফ কর্মী শহীদ রেজাউল মোল্লার পরিবারকে আজ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শাসকের রোষে পড়ে, মিথ্যা মামলায় ফেঁসে এলাকার যাঁরা জেল খেটেছেন তাঁদেরকেও সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। আজ এখানে রক্তদাতার সংখ্যা ছিল ৫৫০ জন। এর মধ্যে মহিলা রক্তদাতা ছিলেন ২৩৭ জন। গত আটদিনে মোট ২৮২০ জন মানুষ রক্ত দিলেন।
আরও পড়ুন: 👉 ISF কর্মী মৃত মইনুদ্দিনের বাড়িতে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান
এদিন সকালে উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গায় এক রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানেও নওসাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। যৌথভাবে আইএসএফের চাঁপাতলা অঞ্চল কমিটি ও গাংনিয়া ঐকতান সংঘ এই শিবিরের আয়োজক ছিল। এখানে আইএসএফ চেয়ারম্যান মানুষকে বিভেদকামী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সংসদে প্রায় দেড়শো জন সাংসদকে বহিষ্কার করার ঘটনায় তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্যাসিস্ত সুলভ আচরণে দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ভয়ানক বিপদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং আগামী বছরে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে সরাতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। এমন সাংসদকে আইনসভায় পাঠাতে হবে যিনি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখ-দুর্দশা-যন্ত্রণার কথা তুলে ধরবেন। এমন কাউকে পাঠাবেন না যিনি সংসদের ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সময় বাইরে নিজের ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকেন। তিনি বলেন, মানুষের অধিকার রক্ষায় আইএসএফ সবসময় এগিয়ে যাবে। এরাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে ভোট লুঠ করে গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে তার যোগ্য জবাব আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিতে হবে। এখানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সাওন দাস, কুতুবুদ্দিন ফাতেহী সহ আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ। এখানে ১৪৯ জন রক্তদান করেছেন।
Thanks